দুধে যতই গুণ থাকুক না কেন যাদের ল্যাকটোজ সহ্য হয় না তারা কোনো ভাবেই খেতে পারেন না। কিন্তু দুধে যে উপাদানগুলো থাকে সেগুলো শরীরে জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। সে ক্ষেত্রে দুধের বদলে ছানা খাওয়া যায়। আর উপকারিতার বিচারেও এগিয়ে রাখা যায় ছানাকে।
ছানায় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর ফলে হাড়ও শক্ত থাকে। আর ভিটামিন ডি-এর জন্য গর্ভবর্তী নারীদের অবশ্যই ছানা খাওয়া উচিত।
এছাড়া ফসফরাস থাকার ফলে ছানা যেকোনো খাবার হজমেও সাহায্য করে। ছানায় প্রোটিনের মাত্রা ভাল থাকায় ক্রীড়াবিদদের জন্যও খুব উপকারী।
তবে শুধু ছানাতেই নয় ছানার পানিতেও রয়েছে বেশ কিছু গুণাগুণ। দুধ কাটিয়ে ছানা তৈরি করার পরে সেই পানি সাধারণত ফেলে দেয়া হয়। খেতে ভাল না হলেও, এতেই রয়েছে বেশ কয়েকটি উপকারিতা।
ছানার পানিতে অ্যালবুমিন ও গ্লোবিউলিন নামে দুটি প্রোটিন থাকে। এছাড়াও এতে থাকে কার্বহাইড্রেট ও ল্যাকটোজ। ছানায় রিবোফ্ল্যাভিন নামে একটি ভিটামিন থাকে যা শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং শরীরে শক্তি বাড়ায়।
এছাড়াও হরমোনাল ইমব্যালান্স, কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা, লো প্রেশার থাকলেও ছানার পানি খেতে পারেন। পেশি শক্ত করতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ছানার পানি।