প্রকৃতপক্ষে সূরা আল-কদরের কোন ফজিলত নেই। তবে কদরের রাতের ফজিলত আছে। এই রাতকে মহান আল্লাহ তাআলা নিজেই হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে ঘোষণা করেছেন।
কুরআনের বর্ননা অনুসারে, আল্লাহ এই রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর উপাসনা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে তার কোনোই অবকাশ নেই। পবিত্র কুরআন, নির্ভরযোগ্য হাদিস ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর লাইলাতুল কদরের জন্য গৃহীত কর্মতৎপরতা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ সম্মানিত রজনীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, আমি এ কুরআনকে কদরের রাতে নাজিল করেছি। তুমি কি জানো কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাস থেতেও উত্তম ও কল্যাণময় (সূরা আল কদর : ১-৩)।
কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত অফুরন্ত। এ সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস রয়েছে। উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়। (বুখারি)।