শিরক আল্লাহর কাছে জঘন্য কাজ। শিরক করার গুনাহের কোন মাপ নেই আর শিরকের কারণে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি রাগন্বিত হন। আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইহুদিদের ইসলামের দিকে আহব্বান করলে উল্টো তারা আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কে শিরকের দিকে আহব্বান করে।
আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম’ (সূরা লোকমান, ১৩)
(আল্লাহ আমাদেরকে শিরক থেকে হেফাজত করুন, শিরককারীদের জন্য জাহান্নামের আগুন)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইহুদিদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দিলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করে এবং তাদের কিছু নেতৃত্বস্থানীয় ইহুদি নবী হযরত মুহাম্মাদ ﷺ এর কাছে এসে বলে( যাদের মধ্যে
সালাম ইবন মিশকাম, নু’মান ইবন আওফা, শাস ইবন কায়স ও মালেক ইবনুস সাইফ ছিল ) আমরা কিভাবে আপনার অনুসরণ করতে পারি? অথচ আপনি আমাদের কিবলা ত্যাগ করেছেন, আপনি উজাইরকে আল্লাহর পুত্র বলে মেনে নেন না? তখন আল্লাহ তাআ’লা নিম্নের আয়াত নাজিল করেন।
"ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে ‘মসীহ আল্লাহর পুত্র’। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে?
(সুরা তাওবা, আয়াত : ৩০)
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ ইহুদিদের উপড়ে রাগন্বিত হয়ে তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ ( আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন,) নাযিল করেছেন।