হ্যাঁ। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পাওয়া তথ্য মতে, তিনি বিগত ০৬ মাস যাবত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। যারা অত্যন্ত মেধাবী হয়, তাদের মানসিক অবসাদে ভোগা একটি সাধারণ ঘটনা। সেই সাথে উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকলে তা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত তারা সে লক্ষ্য না হওয়ার শংকায় শংকিত থাকে। আবার অর্জন করলে পরের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ ছাত্র জীবন থেকে সুশান্ত ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। তিনি তার কর্মজীবনেও একের পর এক সাফল্য পাচ্ছিলেন, কিন্তু বলিউডি জগতে তেমন স্বীকৃতি পাচ্ছিলেন না। এর অন্যতম কারণ তার নিকটজন কেউ কখনও বলিউড জগতের ছিল না। বড় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তার স্বাক্ষরিত চলচ্চিত্র থেকে তাকে বাদ দিয়ে দেয়, কিন্তু কিছুইতেই তা থামাতে পারেন নি তিনি। তাকে এখানে সমর্থন দেবার মতও কেউ ছিল না। তার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর সাথে তার সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না। এছাড়া নানা সাংবাদিক সংবাদপত্র মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে তাকে নাজেহাল করার চেষ্টা করত। সুশান্তের আরেকটি সমস্যা ছিল, মানসিক অবসাদে ভুগলে সে নিজেকে আলাদা করে ফেলত সবার কাছ থেকে। নিজের কষ্টগুলো প্রকাশ করতে পারত না। মানসিক অবসাদে ভোগা মানুষদের অন্তত ২/১ জন ভাল বন্ধু থাকা দরকার, যাদের কাছে সে তার মনের সব কষ্টের কথা খুলে বলতে পারে। সুশান্ত তা করতে না পারায় মানসিক অবসাদের মাত্রা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। পুলিশ তার ফ্ল্যাট থেকে মানসিক অবসাদের ওষুধ পেয়েছে। তার বান্ধবী রিয়া জানিয়েছে, তিনি শেষ কয়েকদিন ধরে ওষুধ খান নি। মানসিক অবসাদে ভোগা মানুষ জীবনের অর্থ বা সার্থকতা খুঁজে পান না কিংবা খুঁজে পেলেও তা হারিয়ে ফেলেন। অনেক অর্জন করলেও হয়ত তার কোন মূল্যই ছিল না তার কাছে। যার জন্য তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ তার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে নিশ্চিত করেছে।
সময় নিয়ে উত্তরটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।