মূল্যবোধের অবক্ষয়!!
সাইবার বুলিং এখনকার ইন্টারনেটের দুনিয়ায় একটি নতুন সমস্যা। যদিও পূর্বেও বুলিং ছিল তবে সেটা অফলাইনে। ইন্টারনেটের বদৌলতে এখন শুরু হয়েছে অনলাইন বুলিং বা সাইবার বুলিং। সাইবার বুলিং অফলাইন বুলিংয়ের চেয়ে অনেক বেশী মারাত্মক।
ধরুন একজন ব্যক্তি একটা কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলেন। এবার একজন কমেন্ট করে সেই পোস্টকারীকে গালাগাল কিংবা অশ্লীল কিছু বললো অথবা কোন হুমকি দিল। ধরে নিন ইনি হলেন প্রথম কমেন্টকারী। তার এই কাজটি সাইবার আইনে একটি অপরাধ এবং এটি সাইবার বুলিং। এবার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় আরো দুইজন কমেন্টকারী এলেন এবং তারা পোস্টদাতাকে সমর্থন দিলেন এবং তারা দেখলো যে প্রথম কমেন্টকারী পোস্টদাতাকে বুলিং করে কিছু বলেছে এবং দেখার পর তারা সেই প্রথম কমেন্টকারীকে যাতা বললো, গালাগাল, হুমকি-ধামকি ইত্যাদি দিলো। দেখুন এখানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় জন কিন্তু প্রথম কমেন্টকারীর বুলিং দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে পোস্টদাতার পক্ষে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু প্রতিবাদটা করতে গিয়ে তারা নিজেরাও গালাগাল, অশ্লীল বাক্য বা হুমকি ধামকি দিল। এদিক থেকে ভেবে দেখলে বলতে হয় তারা একটি সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদ আরেকটি সাইবার বুলিং দিয়ে করলো।
সামাজিক অবক্ষয়,চিন্তাচেতনা,অপরাধমূলক কার্যক্রম দমনে ব্যর্থ বা যথার্থ বিচার না করায় সাহস বেড়ে যাওয়া, নিজে যা নয়- তা বোঝানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে দ্বন্দ মারামারি হানাহানি সৃষ্টি করে সত্যিকার অর্থেই নিজেকে বেকুব প্রমাণিত করার প্রবণতা,নোংরা রাজনীতি এবং যুবসাজের সঠিক শিক্ষা + শাসনের অভাবই এখন সামাজিক নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।
সাইবার কিংবা অফলাইন বুলিং তার একটা উদাহারন উদাহারন মাত্র।