কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা এবং সাহাবা-তাবেঈনের কর্মপন্থা থেকে প্রমাণিত যে তালাক দেওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো, স্ত্রী যখন হায়েজ (মাসিক ঋতুস্রাব) থেকে পবিত্র হবে, তখন স্বামী তার সঙ্গে সহবাস না করে সুস্পষ্ট শব্দে তালাক দেবে। হায়েজ অবস্থায় তালাক দেওয়া এ জন্যই নিষিদ্ধ, যাতে তার উক্ত দুঃসময়ের কারণে তালাক সংঘটিত না হয়; বরং ভালো সময়ে বুঝে-শুনে তালাক সংঘটিত হয়। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা : ২/১৩৯)
আবদুল্লাহ্ ইব্ন ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, তিনি রসূল এর যুগে তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় ত্বলাক্ব দেন। ‘উমার ইব্ন খাত্তাব (রাঃ) এ ব্যপারে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন রসূলুল্লাহ্ বললেনঃ তাকে নির্দেশ দাও, সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনে এবং নিজের কাছে রেখে দেয় যতক্ষণ না সে মহিলা পবিত্র হয়ে আবার ঋতুবতী হয় এবং আবার পবিত্র হয়। অতঃপর সে যদি ইচ্ছে করে, তাকে রেখে দিবে আর যদি ইচ্ছে করে তবে সহবাসের পূর্বে তাকে ত্বলাক্ব দেবে। আর এটাই ত্বলাক্বের নিয়ম, যে নিয়মে আল্লাহ্ তা’আলা স্ত্রীদের ত্বলাক্ব দেয়ার বিধান দিয়েছেন।( আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৬২
তালাকের সময় যা বলা হয় (তালাক-তালাক-তালাক)