রাসায়নিক বন্ধন হলো এক ধরণের আকর্ষণ বল যা পরমাণু গুলোকে একসাথে আবদ্ধ করে অণু তৈরি করে। এই আকর্ষণ বল পরমাণু গুলোর ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর নির্ভর করে।
উদাহরণ:
হাইড্রোজেন (H) পরমাণুতে একটি ইলেকট্রন থাকে। অক্সিজেন (O) পরমাণুতে আটটি ইলেকট্রন থাকে। H এবং O পরমাণু একটি সমযোজী বন্ধন দ্বারা একসাথে যুক্ত হয়ে জল (H2O) অণু তৈরি করে।
রাসায়নিক বন্ধন তিন প্রকার:
1. আয়নিক বন্ধন: ধাতু এবং অধাতু পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন স্থানান্তরের ফলে আয়ন তৈরি হয়। ধনাত্মক আয়ন এবং ঋণাত্মক আয়ন আয়নিক বন্ধন দ্বারা একসাথে যুক্ত থাকে।
উদাহরণ:
সোডিয়াম (Na) এবং ক্লোরিন (Cl) পরমাণু আয়নিক বন্ধন দ্বারা একসাথে যুক্ত হয়ে সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) তৈরি করে।
2. সমযোজী বন্ধন: দুটি অধাতু পরমাণু ইলেকট্রন শেয়ার করে সমযোজী বন্ধন তৈরি করে।
উদাহরণ:
কার্বন (C) এবং হাইড্রোজেন (H) পরমাণু সমযোজী বন্ধন দ্বারা একসাথে যুক্ত হয়ে মিথেন (CH4) তৈরি করে।
3. ধাতব বন্ধন: ধাতু পরমাণুগুলোর মুক্ত ইলেকট্রন ধাতব বন্ধন তৈরি করে।
উদাহরণ:
লোহা (Fe) পরমাণু ধাতব বন্ধন দ্বারা একসাথে যুক্ত হয়ে লোহা (Fe) ধাতু তৈরি করে।
রাসায়নিক বন্ধন অণু গুলোর কাঠামো এবং ধর্ম নির্ধারণ করে। রাসায়নিক বন্ধন ছাড়া অণু তৈরি হতে পারে না।